ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
4 posters
Page 1 of 1
ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
প্রথমেই বলি, টপিকের নামটায় ভুল আছে। কিন্তু ভুলটা ইচ্ছাকৃত।
অনেকেই ভাইরাস এবং ট্রোজান নিয়ে মিশিয়ে ফেলে। অনেকে ট্রোজানকে ট্রোজান ভাইরাসও বলে।
যেহেতু জিনিষটাতে একটু গলদ আছে, তাই আমার মনে হয়েছে এটার ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। যারা wiki ঘাটাঘাটি করে, তারা আমার লেখার সাথে অনেক মিল খুঁজে পেতে পারে। আগেই বলে রাখি। আমি এই লেখাটার অনেক অংশ(বা পুরোটাই হয়তো!) নিয়েছি wiki থেকে।
উৎস
ট্রোজান এর পুরো নাম ট্রোজান হর্স(Trojan horse)। গ্রীক গল্প থেকে এটার নাম এসেছে। যারা গল্পটা জানে না, তাদের জন্য মূল অংশটা বলি। গ্রীক এবং ট্রোজানদের এক যুদ্ধে গ্রীকরা সুবিধা করতে পারছিল না। কাজেই তারা একটু ভেজাল করলো। তখন নিয়ম ছিল, কোন সেনাপতি যুদ্ধে সম্মানের সাথে হার স্বীকার করতে চাইলে তার ঘোড়াটা শত্রুপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তো গ্রীকরা একটা বিশাল কাঠের ঘোড়া বানিয়ে তার ভেতরে নিজেদের সবচাইতে ভালো সৈন্য রেখে দিলো, এবং বাকিরা দূরে চলে গেল। পরে যখন ট্রোজানরা দেখলো ঘোড়াটা, ওরা খুশি হয়ে সেটা শহরে নিয়ে আসলো। শহরে ঢুকার একটাই রাস্তা ছিল, সেই রাস্তায় আবার দরজা বসানো। সেই গেট আবার ভিতর থেকে খুলতে হয়। তো রাতে গ্রীকরা ঘোড়া থেকে বার হয়ে সেই দরজা খুলে অন্য সৈন্যদের ঢুকানোর ব্যবস্থা করে দিলো। তখন আর কি। রাতের অন্ধকারে গ্রীকরা জয়লাভ করলো।
ট্রোজান যা করে
ট্রোজান ভাইরাস সাধারণত অন্য কোন সফটওয়্যারের সাথে লুকিয়ে থাকে। সেই সফটওয়্যার নানা সুন্দর সুন্দর সুবিধা উপহার দেবার কথা বলে। যেমন Keygen, বেশিরবাগ crack, নকল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, বা আরো অনেক কিছু। যখন এগুলো ইন্সটল করা হয়, তখন কেল্লাফতে। ট্রোজান মশাই সেই কম্পিউটারের সব গুরুত্বপূর্ন তথ্য লুকিয়ে পাঠানো আরম্ভ করে তার স্রষ্টার কাছে। ইচ্ছা করলে স্রষ্টা মশাই সেই কম্পিউটারে কি করা হচ্ছে, কোন বাটন দাবানো হচ্ছে, দরকার হলে পুরো নিয়ন্ত্রনও নিয়ে নিতে পারে!!
বাঁচতে হলে
sandbox ব্যবহার করা যায় কিছু ক্ষেত্রে। sandbox ব্যবহার করলে ঘোড়াটাকে একটা আলাদা বাক্সে ভরে ফেলা হয় বলা যায়। সেই বাক্সে যাই করা হোক, ঘোড়া আর বার হতে পারে না। আর ভালো অ্যান্টিভাইরাস তো ব্যবহার করলে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়েই। তবে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো। সাবধান না থাকলে যে যা ব্যবহার করুক, হোক সেটা লিনাক্স, উইন্ডোজ বা ম্যাক, ট্রোজান ধরবে।
তো ভাইরাসটা কি?
ভাইরাসটা একটু অন্যরকন জিনিষ। ভাইরাসের মূল সংজ্ঞা হলো এটা এমন একটা সফটওয়্যার, যা নিজেকে নিজে কপি করতে পারে, এবং নিজে থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়াতে পারে। কিছু ভাইরাস অন্য প্রোগ্রামের সাথে মিশে যায় (infection) এবং ছড়িয়ে ভেজাল পাকায়।
পার্থক্য?
পার্থক্য হলো, ট্রোজান কিন্তু নিজেকে নিজে কপি করছে না। ট্রোজান নিজে থেকে ছড়ায়ও না। তাকে ঘরে আমরাই ডেকে এনে নিজেদের তেরটা বাজাই। আবার ভাইরাস আমাদের তেরটা বাজায় তথ্য নষ্ট করে। সেটা অন্য কারো কাছে পাঠানোর ঝামেলায় যায় না।
শেষ কথা
ট্রোজানকে ভয় পাবার কিছু নাই। সাবধান থাকলে, এবং কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করার আগে সেটা নিয়ে একটু ঘাটা ঘাটি করলে ওয়েবে সেটার নিরাপত্তা সমন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়।
আশা করি সবাই এখন ট্রোজান নিয়ে আরেকটু বেশি জানতে পেরেছে। আশা করছি অন্যদের আগ্রহ থাকলে আমি ভাইরাস এবং ওর্ম নিয়েও কিছু লিখবো।
আর এখানে আমি ভুল কিছু জানালে একটু কষ্ট করে জানিয়ে দিলে ভালো হয়।
অনেকেই ভাইরাস এবং ট্রোজান নিয়ে মিশিয়ে ফেলে। অনেকে ট্রোজানকে ট্রোজান ভাইরাসও বলে।
যেহেতু জিনিষটাতে একটু গলদ আছে, তাই আমার মনে হয়েছে এটার ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। যারা wiki ঘাটাঘাটি করে, তারা আমার লেখার সাথে অনেক মিল খুঁজে পেতে পারে। আগেই বলে রাখি। আমি এই লেখাটার অনেক অংশ(বা পুরোটাই হয়তো!) নিয়েছি wiki থেকে।
উৎস
ট্রোজান এর পুরো নাম ট্রোজান হর্স(Trojan horse)। গ্রীক গল্প থেকে এটার নাম এসেছে। যারা গল্পটা জানে না, তাদের জন্য মূল অংশটা বলি। গ্রীক এবং ট্রোজানদের এক যুদ্ধে গ্রীকরা সুবিধা করতে পারছিল না। কাজেই তারা একটু ভেজাল করলো। তখন নিয়ম ছিল, কোন সেনাপতি যুদ্ধে সম্মানের সাথে হার স্বীকার করতে চাইলে তার ঘোড়াটা শত্রুপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তো গ্রীকরা একটা বিশাল কাঠের ঘোড়া বানিয়ে তার ভেতরে নিজেদের সবচাইতে ভালো সৈন্য রেখে দিলো, এবং বাকিরা দূরে চলে গেল। পরে যখন ট্রোজানরা দেখলো ঘোড়াটা, ওরা খুশি হয়ে সেটা শহরে নিয়ে আসলো। শহরে ঢুকার একটাই রাস্তা ছিল, সেই রাস্তায় আবার দরজা বসানো। সেই গেট আবার ভিতর থেকে খুলতে হয়। তো রাতে গ্রীকরা ঘোড়া থেকে বার হয়ে সেই দরজা খুলে অন্য সৈন্যদের ঢুকানোর ব্যবস্থা করে দিলো। তখন আর কি। রাতের অন্ধকারে গ্রীকরা জয়লাভ করলো।
ট্রোজান যা করে
ট্রোজান ভাইরাস সাধারণত অন্য কোন সফটওয়্যারের সাথে লুকিয়ে থাকে। সেই সফটওয়্যার নানা সুন্দর সুন্দর সুবিধা উপহার দেবার কথা বলে। যেমন Keygen, বেশিরবাগ crack, নকল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, বা আরো অনেক কিছু। যখন এগুলো ইন্সটল করা হয়, তখন কেল্লাফতে। ট্রোজান মশাই সেই কম্পিউটারের সব গুরুত্বপূর্ন তথ্য লুকিয়ে পাঠানো আরম্ভ করে তার স্রষ্টার কাছে। ইচ্ছা করলে স্রষ্টা মশাই সেই কম্পিউটারে কি করা হচ্ছে, কোন বাটন দাবানো হচ্ছে, দরকার হলে পুরো নিয়ন্ত্রনও নিয়ে নিতে পারে!!
বাঁচতে হলে
sandbox ব্যবহার করা যায় কিছু ক্ষেত্রে। sandbox ব্যবহার করলে ঘোড়াটাকে একটা আলাদা বাক্সে ভরে ফেলা হয় বলা যায়। সেই বাক্সে যাই করা হোক, ঘোড়া আর বার হতে পারে না। আর ভালো অ্যান্টিভাইরাস তো ব্যবহার করলে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়েই। তবে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো। সাবধান না থাকলে যে যা ব্যবহার করুক, হোক সেটা লিনাক্স, উইন্ডোজ বা ম্যাক, ট্রোজান ধরবে।
তো ভাইরাসটা কি?
ভাইরাসটা একটু অন্যরকন জিনিষ। ভাইরাসের মূল সংজ্ঞা হলো এটা এমন একটা সফটওয়্যার, যা নিজেকে নিজে কপি করতে পারে, এবং নিজে থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়াতে পারে। কিছু ভাইরাস অন্য প্রোগ্রামের সাথে মিশে যায় (infection) এবং ছড়িয়ে ভেজাল পাকায়।
পার্থক্য?
পার্থক্য হলো, ট্রোজান কিন্তু নিজেকে নিজে কপি করছে না। ট্রোজান নিজে থেকে ছড়ায়ও না। তাকে ঘরে আমরাই ডেকে এনে নিজেদের তেরটা বাজাই। আবার ভাইরাস আমাদের তেরটা বাজায় তথ্য নষ্ট করে। সেটা অন্য কারো কাছে পাঠানোর ঝামেলায় যায় না।
শেষ কথা
ট্রোজানকে ভয় পাবার কিছু নাই। সাবধান থাকলে, এবং কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করার আগে সেটা নিয়ে একটু ঘাটা ঘাটি করলে ওয়েবে সেটার নিরাপত্তা সমন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়।
আশা করি সবাই এখন ট্রোজান নিয়ে আরেকটু বেশি জানতে পেরেছে। আশা করছি অন্যদের আগ্রহ থাকলে আমি ভাইরাস এবং ওর্ম নিয়েও কিছু লিখবো।
আর এখানে আমি ভুল কিছু জানালে একটু কষ্ট করে জানিয়ে দিলে ভালো হয়।
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
ভালো লিখেছেন অমিত ভাই । পড়ে অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম । তবে আমি এখনও একটা বিষয়ে পরিস্কার না , তাহলে কি Trojan Horse কোন virus এর মধ্যে পড়ে না ??
BIT0208-Shuvo- Global Moderator-RC
- Course(s) :
- BIT
Blood Group : B+
Posts : 87
Points : 124
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
এখানে অনেকেই একটা ছোট্ট ভুল জিনিষ জানে। তা হলো সব খারাপ সফটওয়্যার কোন না কেন ধরণের কম্পিউটার ভাইরাস। আসলে এইসব খারাপ সফটওয়্যারকে বলে malware (malicious software)। এগুলোর বিভিন্ন প্রকারভেদে পরে ভাইরাস, ট্রোজান, ওর্ম.. এসব। কাজেই না, ট্রোজান হর্স ভাইরাসের কোন ধরণ না। দুইটা একটা আরেকটার ভাই বলা যায়
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
ধন্যবাদ ভাই , আপনার উত্তরের জন্য এবং একটি সুন্দর লেখার জন্য
BIT0208-Shuvo- Global Moderator-RC
- Course(s) :
- BIT
Blood Group : B+
Posts : 87
Points : 124
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত এত চমৎকার post টির জন্য
এই বিষয়টা নিয়ে আসলেই ধারণা ছিলনা এখন Trojan নিয়ে তো ভিষণ ভয় লাগছে
কি সাংঘাতিক
Linux এও
BTW, এটার নাম Trojan Horse হলো কেন? উৎস দেখে তো মনে হচ্ছে "Greek Horse" হওয়া উচিৎ ছিল
এই বিষয়টা নিয়ে আসলেই ধারণা ছিলনা এখন Trojan নিয়ে তো ভিষণ ভয় লাগছে
BIT0122-Amit wrote:
ট্রোজান যা করে
ট্রোজান ভাইরাস সাধারণত অন্য কোন সফটওয়্যারের সাথে লুকিয়ে থাকে। সেই সফটওয়্যার নানা সুন্দর সুন্দর সুবিধা উপহার দেবার কথা বলে। যেমন Keygen, বেশিরবাগ crack, নকল অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, বা আরো অনেক কিছু। যখন এগুলো ইন্সটল করা হয়, তখন কেল্লাফতে। ট্রোজান মশাই সেই কম্পিউটারের সব গুরুত্বপূর্ন তথ্য লুকিয়ে পাঠানো আরম্ভ করে তার স্রষ্টার কাছে। ইচ্ছা করলে স্রষ্টা মশাই সেই কম্পিউটারে কি করা হচ্ছে, কোন বাটন দাবানো হচ্ছে, দরকার হলে পুরো নিয়ন্ত্রনও নিয়ে নিতে পারে!!
কি সাংঘাতিক
Linux এও
BTW, এটার নাম Trojan Horse হলো কেন? উৎস দেখে তো মনে হচ্ছে "Greek Horse" হওয়া উচিৎ ছিল
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
লিনাক্সে ভাইরাস হয় না বলে যেসব কথা আছে, তার আগে বেশ কিছু শর্ত আছে। ঐসব শর্ত মানলে উইন্ডোজেও ভাইরাস হবে না আর লিনাক্সের মূল যে শক্তি গুরুত্বপূর্ণ অংশে অনুমোদন ছাড়া কাজ করা যাবে না, সেরকমটা উইন্ডোজ ৭ এও ঢুকানো হয়েছে। লিনাক্সে যদিও বলা হয় যে বিশ্বাসযোগ্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে, বিশেষ করে রেপু থেকে, মজা হলো, একবার একটা গেম এর ভেতরে ট্রোজান ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো কোন একটা লিনাক্সের রেপুতে। যারা ঐই গেম নামিয়েছিল, তাদের কম্পিউটারে ট্রোজান ঢুকেছিল। পরে অবশ্য সেটা ঠিক করা হয়। সাবধান না থাকলে সব যায়গাতেই ভাইরাস ঢুকে। জিনিষটা অনেকটা এমন। আমি খড়ের ঘরেই থাকি, আর দুর্গে, যদি সদর দরজা খোলা থাকে, অন্যরা তো ঢুকবেই!
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
প্রথমেই অমিত ভাইকে এত চমতকার পোষ্টের জন্য । অনেক কিছু শিখতে পারলাম পোষ্ট থেকে । আশা করছি ভবিষ্যতে ভাইরাস এবং ওর্ম নিয়ে আরও পোষ্ট পাব ।
BIT0210-MJSunny- Global Moderator-RC
- Course(s) :
- BIT
Blood Group : B+
Posts : 42
Points : 63
Re: ট্রোজান হর্স /ভাইরাস নিয়ে কিছু কথা
আমার মনে হয় গ্রীকরাই নাম দিয়েছিল ট্রোজান হর্স। ধন্যবাদ সবাইকে তবে বললেই আসলে rep++ হয় না। + বাটনে ক্লিক করা লাগে। বলা হয় জানিয়ে দিতে যে কে দিচ্ছে আশা করছি কয়দিনের মাঝেই ভাইরাস নিয়ে লিখে ফেলবো।BTW, এটার নাম Trojan Horse হলো কেন? উৎস দেখে তো মনে হচ্ছে "Greek Horse" হওয়া উচিৎ ছিল
Similar topics
» বিখ্যাতদের নিয়ে কিছু কৌতুক
» ফোরাম নিয়ে আসঙ্কা
» IITians দের নিয়ে কবিতা
» কিছু কৌতুক
» Mozilla Firefox এর অজানা কিছু short cut!!!
» ফোরাম নিয়ে আসঙ্কা
» IITians দের নিয়ে কবিতা
» কিছু কৌতুক
» Mozilla Firefox এর অজানা কিছু short cut!!!
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|
Tue Sep 29, 2015 2:45 pm by Sophiawood
» Cisco EHWIC SFP/GE WAN Card
Mon Sep 07, 2015 11:08 am by Sophiawood
» Huawei S1700-28GFR-4P-AC Price
Thu Jun 25, 2015 2:31 pm by Sophiawood
» teach yourself C++ / Herbert Schildt Solutions
Wed Jun 03, 2015 1:52 pm by Abdullah Al Noman
» teach yourself c by herbert schildt pdf
Wed May 13, 2015 11:01 pm by Raquib Ridwan
» ASA 5506X With Firepower ASA5506-K9
Fri Apr 10, 2015 4:31 pm by Sophiawood
» New Trends in Deal Business
Tue Feb 03, 2015 9:38 pm by nersoa
» PoE Power Allocation for WS-C2960S-24PS-L
Wed Nov 05, 2014 11:12 am by Sophiawood
» How to cure back pain
Fri Oct 31, 2014 7:15 pm by Bergen Guildford